আমরা কিছু পড়া মনে রাখতেই পারি না। এতে যতই চেষ্টা করি না কেন মনে থাকেই না । মনে হয় সেই পড়াটা ঠিক করেই নিয়েছে কিছুতেই মুখস্থ হবো না বা মনে জায়গা করতে দিবো না। তখন আমরা পড়ি বিপদে। একটা বিষয় সবসময়ই মনে রাখবেন মানুষ যতই পড়বে ততই ভূলবে আর যতই ভূলবে ততই শিখবে। তাহলে বলা যায় মানুষ ভূলের মধ্যে দিয়ে শিখে। যতই ভূল করবে ততই বোঝার ট্রাই করবে
আর যতই ট্রাই করবে ততই ভূল করবে এবং শিখবে। কারন আপনি যখন একটি পড়া না বুঝে বুঝে পড়বেন তখন সেটা কিছুতেই মনে থাকবে না। কারন আমাদের ব্রেইন ফাঁকিবাজ না। আমরা ফাকিঁবাজ হতে পারি কিন্তু ব্রেইন তা নয়। কারন ব্রেইন একটা জিনিস যখন বুঝতে পারবে তখনই সেটাকে মনে রাখবে এছাড়া মনে রাখবে না।
১.পোমোডোরো পদ্ধতি : মোবাইল ফোন যেন পড়ার সাথে বিপরীত ধর্ম অনুসরণ করে।কেননা পড়তে বসলেই মনে হয় একটু ফোনটা দেখি। নোটিফিকেশন চেক করি। আর এতে করে পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ নষ্ট হয়। পড়া মনে থাকে না। ১৯৮০ সালের দিকে ফ্রান্সেসকো নামের এক ভদ্রলোক এই পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। ইতালীয়ান শব্দ পমোডোরো অর্থ 'টমেটো সস'। তার এই পদ্ধতিটি মূলত একটি টেবিল ঘড়ি থেকে নেওয়া। ভদ্রলোকের মতে ২৫ মিনিট পড়ার পর ৫ মিনিট ফোন চেক করা। যাতে করে এই ২৫ মিনিট সময় ফোন চাপা যাবে না।
২.ফাইনম্যান পদ্ধতি: পদার্থবিদ রিচার্ড ফাইনম্যান প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাগ্রহন কালে এই পদ্ধতি ব্যবহার করেন। এই পদ্ধতিটি হলো অন্যকে বুঝিয়ে নিজে পড়া মনে রাখা। আমরা যখন অন্য একজনকে পড়া বুঝাবো তখন আমাদের ব্রেইনে সেটা থেকে যাবে। বারবার মনে পড়বে।
৩.নেমোনিক পদ্ধতি : এই পদ্ধতি মূলত পড়াটি ছবি,গল্প,ছড়া,বাস্তবিক রুপ প্রদান করে পড়া মনে রাখা যায়।
৪.বিরতি নিয়ে রিভিশন : জার্মান মনোবিদ হারমান এবিনঘসের মতে, আমরা কোনো কিছু পড়ার পর ১ ঘন্টা পরেই ৪৪ শতাংশ মনে রাখতে পারি। আমরা একটা পড়া যখন মুখস্থ করবো বা পড়বো আমরা সাথে সাথেই রিভিশন না দিয়ে একটু সময় দিয়ে রিভিশন দিবো।
৫. পর্যাপ্ত ঘুম দরকার : যুক্তরাষ্ট্রের নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী জেসিকা পেইন এবং তাঁর কয়েকজন সহকর্মী মিলে একটি গবেষণা করেছেন। তারা এটা বের করে যে অধিক পড়াশোনা করার পর আমাদের পর্যাপ্ত ঘুম দরকার। কারন পর্যাপ্ত ঘুম না হলে পড়া মনে রাখা সম্ভব নয়।
৬.স্টিকি নোট ব্যবহার : যে যে বিষয়ে পড়বো সে বিষয় গুলোর কি-ওয়ার্ড স্টিকি নোটে লিখে চোখের সামনে রেখে দিবো। যাতে কি-ওয়ার্ড গুলো দেখলে টপিকটা মনে করতে পারি।
৭.নতুনের পূর্বে পুরাতন কে সময় দেয়া : আমাদের একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে নতুন কিছু পড়ার আগে পুরাতন বিষয়টিকে ঝালিয়ে নেয়। এতে করে পুরাতন পড়াটি রিভশন হয়ে যাবে।
এই ভাবে পড়লে পড়া মনে থাকবে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন